ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিধবাকে মারপিট করে বাড়ি দখল, পুলিশের অসহযোগিতা 

প্রকাশনার সময়: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১০ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১৪

বগুড়ায় সদর থানার পাশে এক বিধবাকে মারপিট করে জোরপূর্বক বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাননি ভুক্তভুকি বিধবা। বাধ্য হয়ে দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ দোলেনা বেগম ওরফে চম্পা

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ওই বিধবা নারী।

সম্মেলনে চম্পা বলেন, বগুড়া সদর থানা থেকে ১শত গজ দুরে সুত্রাপুর মৌজার কবি নজরুল ইসলাম সড়কে সদর থানার পাশে পৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে টিনসেট বাড়ি করে বসবাস করে আসছি। এই বাড়ি ১৯৯৮ সাল থেকে একটি প্রভাবশালী মহল দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রেজাউল করিম সরকার রবিন ও আকবরিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলারের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মানুষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সর্জ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করেছে। তারা চিৎকার করে বলে এই বাড়িতে যারা প্রবেশ করবে তাদের রক্তের বন্যা বয়ে দেব। এভাবে সারাদিন অতিবাহিত হবার পর রাত ৮টার দিকে আমার বাড়ির তালা আটকিয়ে দেয় এবং গলিতে প্রাচীর নির্মাণ করে আমার যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া রাতের আধারে আমার বাড়ির জায়গায় জোর পূর্বক টিনের ছাপড়া নির্মাণ করে ঐ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় আমার বাড়ির প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ায় আমি রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সদর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ৯৯৯ এই নম্বরে রাতে কয়েক বার ফোন দিয়েছি, একবার পুলিশ এসেছিল, তারপরও আর আসেনি। ৯৯৯ সবশেষে ফোন দিলে নারী কণ্ঠে বলে আমরা এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারব না। এমন অবস্থায় একজন বিধবা মানুষ হয়ে ওই প্রভাবশালী মহলের সন্ত্রাসীদের ভয়ে অনিরাপত্তায় জীবন যাপন করছি। আমি একাই ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছি, আমার দুই মেয়ে, তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তাই আমার জীবনের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসময় চম্পার মেয়ে নিপা উপস্থিত ছিলেন।

আকবরিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আলাল আলী আলাল, আমার জায়গা আমি দখলে নিয়েছি। জায়গার যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে কোন প্রকার মারপিট করা হয়নি। এসব বিভ্রান্তমুলক কথা ছড়াচ্ছে ওই মহিলা।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সেলিম রেজার সরকারি মোবাইলে ফোন দিলে মিটিং আছে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ