ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেই স্বপ্ন পূরণে এবার দিনরাত ইটের ভাটার মাটি খুঁড়ে চলেছেন কয়েকশ মানুষ। কেউ কোদাল, কেউ বাসিলা, কেউ খুন্তি দিয়ে সোনার সন্ধানে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাণান্ত চেষ্টা।
ভাগ্য বদলের আশায় মাটি খননের এই প্রতিযোগিতা চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায়। তবে ভাটায় সংবাদকর্মী দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় গত কয়েকদিন ধরে চলছে মাটি খননের প্রতিযোগিতা। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ বাড়ি থেকে কোদাল, বাসিলা নিয়ে ওই ভাটায় আসছেন এবং ইট তৈরির জন্য স্তুপে করে রাখা মাটির ঢিবি খনন করছেন। তাদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেণির মানুষই বেশি। সোনা পেলে ভাগ্য বদল হবে এই আশায় গভীর রাতেও মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে ইট ভাটায়।
জানা যায়, এপ্রিল মাসে হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠে রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইটভাটা। বলা হচ্ছে, ওই ভাটায় মাটির নিচে পাওয়া যাচ্ছে সোনা। এমন একটি সংবাদ ভাইরাল হওয়ার পর দূর-দুরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন ভাটায়। সোনা পাওয়ার আশায় ইট তৈরির জন্য স্তুপে করে রাখা মাটির ঢিবিতে চালাচ্ছেন ইচ্ছামতো খনন কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দা মকসেদুল, নুরজামাল, খতিবরসহ আরও কয়েকজন বলেন, ভাটার মাটির স্তুপে সোনা পেয়েছেন কয়েকজন। কিন্তু কে পেয়েছেন এ কথা স্বীকার করছেন না কেউ। তাদের দাবি অনেকেই পেয়েছে, তাই আমরাও খুঁড়ে দেখছি।
আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তুপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তুপ থেকে সোনার জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তুপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ সোনার কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর তারা পাননি। তারপরও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মাটি খুঁড়তে আসছে।
এবিষয়ে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি এর আগেও জেনেছি। বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দু’দিন ধরে জনতা আবার একই কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ