পাবনার ঈশ্বরদীতে আবারও ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকদিন যাবত মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২৫ মে) থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধারণ করেছে। তবে দুই মাসব্যাপী গরমে মানুষের জীবন হাঁসফাঁস। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। রোদের তাপ এতই প্রখর যে বাইরে টেকা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা। প্রচন্ড রোদ ও গরমের ভেতরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে আখ খেতে নিড়ানি দেওয়ার কাজ করছেন শ্রমিক জামাল আলি এবং তসলেম আলী। তারা বলেন, রোদ গরমে খুব কষ্ট হলেও বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না। তাই রোদ গরমের মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে।
দাশুরিয়া থেকে রহিমুল ইসলাম নামে একজন ঈশ্বরদী বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, এই রোদে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা যায় না। একটা কাজ ছিল, তাই বের হয়েছি। কাজ শেষ করেই দ্রুত বাসায় ফিরব।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সাজেদুল ইসলাম নামের কুলি জানায়, তীব্র তাপদাহে ও গরমে শরীরের কাপড়চোপড় ভিজে যাচ্ছে। তারপরও পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।
শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল বিকেল তিনটায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এটায় এ বছর ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করলেও ১৪ মে থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১৮ ও ২০ মে এই দুইদিন বাদে মৃদু থেকে মাঝারি ও সব শেষ আজ তীব্র তাপপ্রবাহ ধারণ করে।
এ দিকে কয়েকদিন ধরে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সকল শ্রেণির মানুষ। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। গ্রাম-গঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছে শিশুসহ বয়োবৃদ্ধরা। গাছের ছায়া ও আশপাশের বাগানে বিশ্রাম নিতেও দেখা গেছে অনেককে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে আজ ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ