বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এটি আরও ঘনিভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণের জানমাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার লক্ষে ১৫৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ২০ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন।
এছাড়াও দুর্যোগকালীন ব্যবহার উপযোগী কিটসই একাধিক ভবন চিহ্নত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। আর প্রতিকূল আবহাওয়ায় খাদ্য ও শুকনা খাবার মজুদ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ৩১শ ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার বার্তায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসীন্দাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বলেন, আমার এলাকায় ১৪টির বেশি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু জলোচ্ছ্বাস
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল রুম, মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ে গাছ ওপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে দ্রুত গাছ অপসারণের জন্য আলাদাভাবে ফায়ারব্রিগেড এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হবে। এছাড়াও দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নিরাপদে আসা মানুষদের জন্যও আমরা সব রকম প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। তবে সকলকে সচেতন হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ