ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬

আবু তালিব ফকিরের স্বপ্নের গরুর খামার

প্রকাশনার সময়: ২৫ মে ২০২৪, ১৬:৪৮ | আপডেট: ২৫ মে ২০২৪, ১৭:২৩

ময়মনসিংহের নান্দাইলে শখের বশে বাণিজ্যিকভাবে গরুর খামার গড়ে তুলে চমক দেখিয়েছেন আবু তালিব ফকির। ৪ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের গরুর খামার। অনেকেই তার দেখাদেখি তৈরি করছেন ছোট গরুর খামার।

আবু তালিব ফকির নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে এই খামারে সিন্ধী, শাহী ওয়াল, অস্ট্রেলিয়ান ও দেশী জাতের ১১১টি ষাড় গরু রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২কোটি টাকার উপরে। এসব গরুর দাম সর্বনিম্ন ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এরমধ্যে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। কোরবানিতে গরুগুলো বাজারজাত করে অধিক মুনাফার আশা করছেন খামারি আবু তালিব ফকির। বিভিন্ন জায়গা থেকে এগুলোকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে তার খামারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে ১৬ জন বেকারের। তাদের ১৫ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হচ্ছে।

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ৮৪ টি গরু দিয়ে ১৭ একর জায়গার উপর 'ফকির এগ্রো এন্ড ফিশারিজ' নামে খামারের যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১১১টি ষাড় গরু। বিশাল আকৃতির ৩ টি শেড করা হয়েছে। যেখানে ৩২৭ টি গরু রাখা যায়।

সরেজমিনে খামারে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে খামারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। ষাড়গুলোকে মোটাতাজার করে ঈদে বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করার চিন্তা ভাবনা করছেন তারা। শ্রমিকরা কেউ ঘাস ও খড় দিচ্ছেন, কেউ বা দিচ্ছেন ভূসি, খৈল, ছোলা ও ধানের তুষের খাবার। খামারের পাশে রয়েছে ঘাসের খেত।

তার খামারে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, এলাকায় একটা খামার হওয়ায় আমাদের জন্য উপকার হয়েছে। আমরা এই খামারে কাজ করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার ভালোভাবে চালাতে পারি। আমরা এখানে ১৬ জন শ্রমিক কাজ করি। মাস গেলে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা পাই, তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।

খামারি আবু তালিব ফকিরের ছোট ভাই তসলিম উদ্দিন ফকির জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ‘লাইভ ওয়েট’ পদ্ধতিতে ৫শত টাকা কেজি দরে গরু বিক্রি করছি। এরমধ্যে ৫০ ভাগ গরু বিক্রি হয়েছো।

তিনি বলেন, খামারে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের গরু রয়েছে। এসব গরুর দাম সর্বনিম্ন ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত।

স্থানীয় চরবেতাগৈর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আবু তালিব ফকিরের খামার দেখে গ্রামের অন্যরাও গরু পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। তার খামারের গরু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।

নান্দাইল উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকতা ডা. হারুন অর রশিদ জানান, আবু তালিব ফকিরের খামার অনেক বড় গরুর খামার। তিনি আমাদের রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত খামারি এবং প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। তিনি একজন দক্ষ খামারি। ঈদকে সামনে রেখে গরু বিক্রির জন্য আমরা অফিসিয়ালি সার্বিক সহযোগিতায় দিবো।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ