গত মঙ্গলবার (২১ মে) খুলনা নড়াইলে সদর উপজেলার পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মো.আজিজুর রহমান ভূইয়া আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। সদর উপজেলার চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের সৈয়দ সামিউল হাসান সরফু আজিজ ভূইয়ার প্রতিপক্ষ তোফায়েল মাহামুদের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এতে আজিজ ভূইয়ার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হন।
সরেজমিন দেখা গেছে, স্থানীয় চালিতাতলা বাজার সংলগ্ন চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে সৈয়দ সামিউল হাসানের প্রতিষ্ঠিত একটি সম্মিলনী প্রি-ক্যাডেট স্কুল রয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) দিবাগত রাতে কে বা কারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনের ঘরের চারপাশে দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
শনিবার (২৫ মে) সকালে স্কুলে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখতে পায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিভাবকসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে আমি প্রাইভেট পড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসি। এসেই দেখি প্রতিষ্ঠানের টিনের বেড়ার চারপাশে দাহ্য পদার্থ দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। আমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মাৎ রিক্তা খানমকে ফোনে বিষয়টি জানাই।
প্রধান শিক্ষক রিক্তা খানম বলেন, আমার স্বামী সৈয়দ সামিউল হাসান, ২০০৯ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, আমার স্বামী আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজ না করায় তার সমর্থকরা আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
তিনি আর বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানতে চাইলে মো.আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে। এ নিয়ে মন খারাপের কিছু নেই। নির্বাচনে কে কার পক্ষে কাজ করলো কিংবা করলো না তাতে কিছু মনে করি না। তবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে এটা ঘৃণিত কাজ। যারা এ সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ পাঠিয়ে সরজমিনে তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর দারিতে রাখবে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ