গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মীম আক্তার (৫) নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎমায়ের বিরুদ্ধে। নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর সৎমায়ের রুমের সানসিটের ওপর কাঁথা দিয়ে প্যাঁচানো শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সৎমাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাঁটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মীম আক্তার (৫) সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সবুজ মিয়ার মেয়ে। সবুজ মিয়া পরিবারসহ উপজেলার হরিণহাঁটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সবুজ মিয়া জীবিকার তাগিদে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলায় আসেন। পরে উপজেলার হরিণহাঁটি এলাকায় সোজাব্দ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। স্ত্রী ও মেয়ে মীমা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তবে বেশ কিছুদিন আগে আয়না নামে এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সবুজ মিয়া। একই ভবনের পাঁচতলায় ছোট স্ত্রীও থাকত। মীম আক্তার বুধবার (২২ মে) সকালের দিকে নিখোঁজ হয়। পরে মীমের বাবা সবুজ মিয়াসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও খোঁজাখুঁজি করেন।
কোথাও খুঁজে না পেয়ে হঠাৎ এলাকাবাসী সবুজের ছোট স্ত্রীকে সন্দেহ হলে তার রুমের ভিতরে প্রবেশ করে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সানসেটের ওপর থেকে কাঁথা প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায়। এ সময় ছোট স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুরটির মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত আয়না আক্তারকে আটক করে।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) ফেন্সি জুয়েল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সৎমা আয়না আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ