ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ জন শিক্ষকের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নান্দাইল কৃষি অফিসের রাজগাতি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আকন্দের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বপ্নকুঁড়ি পাবলিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক রানী চৌহান।
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন নান্দাইলসহ অন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলে নান্দাইল সদরের স্বপ্নকুঁড়ি পাবলিক স্কুলের ৫ জন ও রাজগাতি ইউনিয়নের শিমুলতলা প্রিক্যাডেট হাইস্কুলের ১০ জন শিক্ষকের কাছ থেকে গত ১২ মে ৭০০ টাকা করে হাতিয়ে নেন ফয়সাল আকন্দ।
টাকা নেওয়ার সময় ফয়সাল আকন্দ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে তিনি আবারও ৩০০ টাকা মোবাইল ফোনে দাবি করেন।
পরে বিষয়টি স্বপ্নকুঁড়ি পাবলিক স্কুলের পরিচালককে জানালে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। এরমধ্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আকন্দ টাকা ফেরত দেন।
রাজগাতির শিমুলতলা প্রিক্যাডেট হাই স্কুলের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার স্কুলের দশজনের কাছ থেকে ৬০০ করে টাকা নিছে। শিক্ষকরা ভাবছিল নির্বাচনের ডিউটি করলে হয়তো ৫-৬ হাজার টাকা পাবে, তাই টাকা দিয়েছিল। পরে শিক্ষকদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আকন্দ টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন এবং প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন বলে জানান।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, এক শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে জানিয়েছি। আমার দপ্তর তো নির্বাচনের দায়িত্ব প্রদান করে না। তবে কি কারণে এমন করেছে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ