চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচনে নীলমণিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আতিকুর রহমানকে স্যার না বলায় সাংবাদিকের ওপর চটেছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভিডিও সংগ্রহের সময় বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নীলমণিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী নাগরিক টেলিভিশন ও জাগো নিউজের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক বলেন, আমি এ কেন্দ্রের ভোটার। প্রথমে আমি ভোটার হিসেবে ভোট প্রয়োগ করি। এ সময় আমার ক্যামেরাপারসন সাকিব আল হাসান কেন্দ্রের বাইরের ফুটেজ সংগ্রহ করছিলেন। এতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাধা প্রদান করেন। পরে আমি সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে ভাই সম্বোধন করি। এ সময় তাকে স্যার না ডাকায় তিনি চটে যান। এটা দুঃখজনক ঘটনা। এরপর আমি রিটার্নিং অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করি।
এ বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, আমি এখন ভোটের কাজ করছি। পরে ফ্রি হলে আপনাকে কল দেব।
চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা বলেন, আমরা এ বিষয়টি অবহিত হয়েছি। ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে। উনি ভবিষ্যতে এরকম করবেন না।
প্রসঙ্গত, আজ (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। সদর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ ও পুরুষ ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন চারজন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৯টি।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৯৫ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৫, পুরুষ ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন দুজন। এ উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১১৮টি।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ