ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গাড়িতে মিলল ৭ লাখ ইয়াবা, গ্রেফতার ৪

প্রকাশনার সময়: ২০ মে ২০২৪, ১৬:৪৭

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে একটি বিলাসবহুল প্রাইভেটকার থেকে ৭ লাখ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ মাদক কারবারীকে। রোববার (১৯ মে) রাত ২টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়।

সোমবার (২০ মে) বেলা ১২টার দিকে র‌্যাব- ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- টেকনাফ ডেইল পাড়ার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল আমিন (৪০), টেকনাফ গোদার বিল এলাকার আবু সৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হাশেমের ছেলে নুরুল আবছার (২৮) ও ডেইল পাড়ার মৃত দীল মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (২৬)।

র‌্যাবের অধিনায়ক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে মাদক কারবারি আব্দুল আমিন তার মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যসহ মাদকের একটি বিশাল চালান নিয়ে বিলাসবহুল প্রাইভেটকারযোগে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার শহরের দিকে আসছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে রাত ২টার দিকে র‌্যাব- ১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুয়ারটেক চেংছড়ি মেরিন ড্রাইভ রোডে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে। এ সময় তারা মাদক উদ্ধারের একটি বিশেষ তল্লাশী অভিযান শুরু করেন। তল্লাশি চলাকালীন টেকনাফ থেকে আগত কক্সবাজারগামী কালো রঙয়ের একটি বিলাসবহুল প্রাইভেটকারকে থামার সংকেত দিলে তা দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে র‌্যাব প্রাইভেটকারটি থামাতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গাড়ির পেছনে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থা থেকে সর্বমোট ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ইয়াবা সম্রাট আব্দুল আমিনসহ মাদক সিন্ডিকেটের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আব্দুল আমিন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ইয়াবা সম্রাট ও মাদক সিন্ডিকেটটির অন্যতম সদস্য। তিনি প্রথমে মুদির ব্যবসা এবং বিভিন্ন গরুর হাটের ইজারাদারি করতেন। পরবর্তীতে পলিথিন ও কার্পেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। এসব ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

আরও জানা যায়, বার্মাইয়া সিরাজের ইয়াবার বিশাল সব চালান সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে আব্দুল আমিনের নিকট পৌঁছাতো। এ সকল ইয়াবার চালান দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে কয়েক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে মজুদকৃত মাদকের চালান স্থানীয় মাদক কারবারি, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নির্ধারিত এজেন্টদের নিকট সুবিধাজনক সময়ে বিক্রি করে থাকে। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকসহ ১১টির অধিক মামলা রয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ