মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুরের এক নারীর অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে নৈনারপার জামে মসজিদ কমিটির কয়েকশো মুসল্লীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নৈনাছড়ার পাড়ে কয়েক বছর ধরে বসবাসরত পূর্ব জালালপুর গ্রামের লিপি বেগম ওরফে তমা আক্তার (৩৪) নামে এক নারী নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীরা বাধা দেন। পরে ওই নারী স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিম মিয়া সহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা লিপি বেগম গত ২-৩ বছর ধরে এ এলাকায় বসবাস করছে। তার একটি ১২ বছরের ছেলেও রয়েছে। তবে তার স্বামী কোথায় তা কেউ জানে না। বিভিন্ন সময় তার ঘরে রাত বিরাতে বহিরাগত পুরুষ মহিলাদের আনাগোনা ও অবাধ চলাফেরা এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় লিপি বেগম ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জড়িয়ে অশালীন কথাবার্তা বলছেন লিপি বেগম। তার বেপরোয়া আচরণে অতীষ্ঠ এলাকাবাসী।
নৈনারপার জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সহিদ ও সম্পাদক মতিউর রহমান জানান, ‘চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারী লিপির ঘরে আবু সিংহ নামে মনিপুরী সম্প্রদায়ের এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকাকালীন সময়ে ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে লিপি ও আবু সিংহের মুচলেকা নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে আবু সিংহের সাথে শমসেরনগরের একটি রেস্টহাউসে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করেছিল। তবুও থামেনি লিপির অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এসবে বাধা দিলে এলাকাবাসীকে মামলার হুমকি দেন লিপি। ইতিপূর্বে লিপির অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ায় ইউপি সদস্য আজিম মিয়াসহ কয়েকজন হয়েছেন মিথ্যা মামলার আসামি।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আজিম মিয়া বলেন, ‘লিপি বেগমের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় আমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালনে মিথ্যা মামলা করেছে। তার কাছে কোন অর্থ বা চাঁদা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।’
আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বিষয়টি শুনেছেন দাবি করে বলেন, ‘উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ এখনও হাতে আসেনি।’
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ