দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গজারিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত সাংবাদিক জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুরান বাউশিয়া গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও আদম বেপারী আমিনুর রহমান হারুন শিকদার আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। তার বাড়িতে মাদকের আসর বসানো হয়। এই তথ্য আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাই। ইতোপূর্বে হারুন শিকদার ও তার লোকজন আমার ওপর হামলা করে। সম্প্রতি আমি বাউশিয়া মোহাম্মদ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অভিভাবক শ্রেণির সদস্য প্রার্থী হওয়ায় আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরও আমাকে মারধর করবে বলে জানায়। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হারুন শিকদারের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা চালায় তার লোকজন। আমি বিষয়টি মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আমরা থানার সামনে অবস্থা নিয়েছি। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে আমি বাড়ি ফিরে যাবো না।
এদিকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি, সিনিয়র সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজিব খান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িতদের আটকে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
এর আগেও বিজয় টিভির মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমরুল ইসলাম নয়ন, গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধান-সহ অসংখ্য মানুষ হারুন শিকদার ও তার লোকজনের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছেন।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ