তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাই তাল শাঁসের কদর এখন আকাশ চুম্বি। চাহিদার কারণে দাম কিছুটা বেশি হলেও সেই দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষেরা।
সরেজমিনে দেখা যায় রোববার (১৬ মে) নিমগাছী-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের খাদ্য গুদাম মোড়ে দেদারছে বিক্রি করছেন তালের শাঁস। এখানে পাইকারিই বেশি বিক্রি হয়। এখান থেকে কিনে দেশের বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে বিক্রি করে।
গুল্টাবাজারে তালের শাঁস বিক্রেতা সাইদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মৌসুমে প্রায় অর্ধ শতাধিক মৌসুমি শ্রমিক তালের শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেক ক্রেতাই তালের শাঁস খাচ্ছেন আবার পরিবারের সদ্যসদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
তালের শাঁস বিক্রেতা পৌর এলাকার উত্তর বাঁধের ঘেলু সামাদ বলেন, (যদিও তার নাম সামাদ তালের শাঁস বিক্রির জন্য তার নাম হয়েছে ঘেলু সামাদ) প্রত্যান্ত গ্রামে ঘুরে কচি তাল আলা গাছ কিনে, সেখান থেকে তাল সংগ্রহ করি। তালের সংখ্যা ও আকার ভেদে একটি গাছের তালের দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়। প্রতি পিচ তাল পাইকারি ৬-৮ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বিক্রি হয় আকার ভেদে ৮ থেকে ১২ টাকা। আর খুচরা ও পাইকারি মিলে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার শাঁস তাল বিক্রি হয়।
এক ক্রেতা বলছেন, মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আমাদের আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু গত বছরের থেকে এবারে তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখন বজ্রপাত রোধে বিভিন্ন রাস্তার ধারে ও খালের পাড়ে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে। কৃষি অফিস ও বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে তালের গাছ রোপণ করে আসছে। এ বছর তালের ফলনটাও ভালো হয়েছে। বীজ করার জন্য এসব গাছের তাল পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, তালের শাঁসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে। এ শাঁস খেলে কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থাকে। তবে এটা খেতে হবে পরিস্কার পরিছন্নভাবে না হলে ডায়েরিয়ার ঝুঁকি থাকবে।
নয়া শতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ