ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাস্তার ধারে ময়লার ভাগাড়, ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু

প্রকাশনার সময়: ১৯ মে ২০২৪, ২১:১৮

পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভা ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। তবে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ৩নং ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকার মূল সড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে। এসস আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু। এ ছাড়া হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ময়লাও ফেলায় গবাদিপশু ও শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে এলাকাবাসী।

গলাচিপা পৌরসভার বর্তমান মেয়র মো. আহসানুল হক তুহিন টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. আব্দুল ওহাব খলিফা টানা তিনবার চ্যেয়ারম্যান ও মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের ছোঁয়ায় এই এলাকাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন।

তবে পৌরসভার সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাবহৃত ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে নয় ফেলে ফেলা হচ্ছে ৩নং ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকার মূল সড়কের পাশেই। এতে লোকালয়ের নিকটে এসব আবর্জনা ফেলায় অস্বস্তির শিকার স্থানীয়রা। এসকল আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু। বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকের ময়লা লোকালয়ের কাছে ফেলায় গবাদিপশু ও শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে জনসাধারণের। তা ছাড়া অপরিকল্পিত এমন ময়লার ভাগাড়ের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত একমাত্র জলাশয়টি দূষিত হয়ে পড়েছে।

বিভিন্নভাবে মানুষজন বিষয়টি পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এমনকি স্থানীয়রা বাধা দিলেও সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। তারা তাদের খেয়াল খুশিমতো অপরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত শহরের সকল ময়লা এভাবেই রাস্তার পাশে ফেলে আসছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় মো. রাসেল বলেন, আমরা ময়লা না ফেলার জন্য পৌরসভায় দরখাস্ত করছি কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় নাই। এরপর আমরা ময়লার গাড়ি আটকাইছি তারপর কয়েকদিন ময়লা ফালায় নাই। পরে আবারও ময়লা ফেলানো শুরু করেছে। পাশের যে খালটি আছে এইডার পানি এইহানের সবাই ব্যবহার করে। কিন্তু পৌরসভা দিয়া কোনো ব্যবস্থাই নেয় না। আমাগো ঘরে মশা মাছিতে ভইররা গেছে।

ময়লা আবর্জনায় ভোগান্তির শিকার ডলি বেগম বলেন, বাচ্চাগাচ্চার পেট খারাপ হয়। বড় মানুষদেরও পেট খারাপ হয়। আমরা কমপ্লিন দিছি, পিছা নিয়া এলাকার সবাই দাড়াইয়া আছেলাম হেতেও কোন কাজ হয় নাই।

আরেক ভুক্তভোগী মো. জালাল বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবহৃত সিরিঞ্জের সুচ দেখিয়ে বলেন, এগুলো এভাবে খোলা জায়গায় কি কেউ ফালায়? যের মাথায় সেন্স আছে এই কাজ কি কেউ করে? গরু বাছুরের কথাও তো মাইনষে চিন্তা করে। অনেকবার বলার পরও কোন কাজ হয় নাই।

অপরিকল্পিতভাবে মানুষের ব্যবহৃত ময়লা লোকালয়ে কাছে ফেলানোর বিষয়ে জানতে গলাচিপা পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিনের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

তবে গলাচিপা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুনীল বিশ্বাস জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জায়গা এরমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার থেকে বরাদ্দ আসলেই ময়লা স্থানান্তর করা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ