ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬

অবরোধে চাল নয়, জীবন রক্ষায় উদ্ধারযানের দাবি জেলেদের

প্রকাশনার সময়: ১৯ মে ২০২৪, ১৮:১৪ | আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ১৮:২৮

সম্প্রতি সময়ে গোটা দক্ষিণ উপকূলজুড়েই মৎস্য বন্দরগুলো ছিল মাছ শূণ্য। এরই মধ্যে সোমবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা। তবে সমুদ্র যোদ্ধারা বলছেন, দেশের স্বার্থে দেশীয় জেলেরা অবরোধ পালন করলেও ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন বন্ধ করতে পারছে না সরকার। তাই ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি সঠিক সময়ে সহায়তা দেওয়া ও দুর্যোগকালীন উদ্ধার নৌ-যানের দাবি মৎস্য শিকারীদের।

গভীর সমুদ্র থেকে নীল অর্থ আয়ের সক্ষমতা বাড়াতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তাই টানা এ অবরোধে হতাশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দীর্ঘ এই নিষেধাজ্ঞার কবলে ধার দেনায় জড়িয়ে পড়েন সমুদ্রগামীরা। ফলে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে জেলেদের।

তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সুযোগে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ শিকার করে নিয়ে যায় অবাদে। ওই সময়ে বড় সাইজের ইলিশ শিকার করেন বহিরাগত জেলেরা। এ ছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে উদ্ধারযান না থাকায় অনেকটাই ক্ষুব্ধ মৎস্য শিকারিরা।

এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি মো. হেলাল বলেন, ভারতীয় জেলেদের বিষয়ে একাধিবার উপকূলের জেলেরা প্রতিবাদ করলেও বহিরাগতদের আগ্রাসন বন্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেইনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার প্রভাবে অবরোধ শেষে সাগরে ফিরলে প্রথম দিকে কাঙ্খিত ইলিশ পায় না উপকূলীয় মৎস্য আহরণকারীরা।

আলীপুর ঘাটের রিপন মাঝির অভিযোগ, সঙ্কটের সময়ে সরকারের দেয়া খাদ্য সহায়তাও সামান্য। কিন্তু তা পেয়েও আমরা সঠিক নিয়মে অবরোধ পালন করি।

তবে হতাশার কণ্ঠে এই জেলে বলেন, যখন বৈরি আবহাওয়ার ঝড় বন্যার কবলে পড়ে জেলেরা মারা যান কিংবা নিখোঁজ থাকে। তখন মৃতদেহ হোক বা সাগরে ভাসমান জীবিত জেলেদের উদ্ধারে সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। তার ভাষ্যমতে, এই জেলেদের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে সরকার। তাই দুর্যোগকালীন উপকূলের জেলেদের জীবন রক্ষায় সরকারের কাছে উদ্ধার নৌ-যানের দাবি মৎস্য জীবীদের।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা পালনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানিয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩শ ৫ জন জেলেদের মাঝে অবরোধকালীন ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। তবে মৎস্য শিকার বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তবে দক্ষিণ উপকূলের জেলেদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ঝড় বন্যায় উপকূলীয় জেলেদের নিরাপত্তার জন্য উদ্ধারযান জরুরি প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী উদ্ধার নৌযান চেয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ