পটুয়াখালীর দশমিনায় নিশাত (১৬) নামে এক স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্নহত্যা করেছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিশাত বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের মো. হেমায়েত উদ্দিন প্যাদার মেয়ে। সে ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিশাতের মা সকালে দেবরের নির্বাচনী ক্যাম্পিং করার জন্য বাসা থেকে বের হন। নিশাত বাসায় একা থাকে, তাই সে মায়ের কাছে মোবাইল চায়। মোবাইল না দিয়ে মেয়েকে বকাঝকা করে ক্যাম্পিংএ চলে যান তিনি। ক্যাম্পিং এ থাকা অবস্থায় তার ছোট মেয়ে ফোন করে বলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ, বাসায় আসো। তখন নিশাতের মা নাজমা বেগম স্বামী হেমায়েত উদ্দিনকে ঘটনার বিষয়টি জানান। তখন হেমায়েত বাসায় এসে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে দেখেন নিশাত ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। তিনি চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতলে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবিদা নাসরিন জিতু নিশাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিশাতের বাবা হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচন করেন। তার নির্বাচনী প্রচারনায় আমি, আমার স্ত্রী ও আমার ছেলে যাই। ফোন পেয়ে এসে দেখি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে আমার মেয়ে নিশাত। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে। ওকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। ওর মানসিক জিনগত সমস্যা ছিল। এ বিষয় নিয়ে ফকির দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি, ঠিকও হয়। কয়েকদিন পর্যন্ত মাঝেমধ্যে বলতো, আমাকে পেছন থেকে কে যেনো ডাকে’।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনার বিষয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে শুনেছি। পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ