রাজশাহীর বাঘায় মোবাইলফোনের দোকানের সেলসম্যানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মে) রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা.মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাটোরের লালপুরের কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)। এই মামলায় মেহেদী হাসান রকি (২৫) নামে এক আসামির তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নিহত জহুরুল ইসলাম (২৩) মনিগ্রাম বাজারের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারির একটি আম বাগানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে আমবাগানে ডাকা হয় তাকে।
তিনি আরও বলেন, জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তার কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায় তারা। ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে জহরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ