নোয়াখালী সদর উপজেলায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় সুমি আক্তার (৩০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে সোনাপুর-আলেকজান্ডার সড়কের সমিতির মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সুমি আক্তার এওজবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের মান্নান নগর থেকে ১৫ থেকে ১৬ জন বরযাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলো। পথে কালাদরাপ ইউনিয়নের সমিতির মসজিদ এলাকায় পৌঁছলে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারী মারা যান এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, `খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

অপরদিকে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, `বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে সুমি আক্তার নামে এক নারীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'

নয়া শতাব্দী/আরসিকে