ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

দাম বেড়ে শুঁটকিও নাগালের বাইরে

প্রকাশনার সময়: ১১ মে ২০২৪, ২১:১৩

দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। এবার দাম বেড়ে ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে শুঁটকিও। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে মাসের ব্যবধানে সব ধরনের শুঁটকি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়া, শুঁটকি তৈরির অন্যতম উপাদান লবণের দাম বৃদ্ধি ও হিমায়িত করে মাছ বিদেশে রপ্তানি করার কারণে শুঁটকির উৎপাদন কমে গেছে। পাশাপাশি আগের তুলনায় পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে শুটকির দামও এখন বাড়তির দিকে।

কালীগঞ্জে শিয়ালখোওয়া বাজারের বিভিন্ন শুঁটকির দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৩শ টাকা বেড়েছে ভেটকি শুঁটকি ১হাজার টাকা কেজি, দেশি চেপা শুটকি ১২শ টাকা কেজি, চিংড়ি শুটকি ৬০০ টাকা কেজি, বালিয়া শুঁটকি ৪০০টাকা কেজি, লইট্টা ১২০০ টাকা শুঁটকি ৭৫০, ফেওয়া শুঁটকি ৪০০, হিছুটিমলা শুঁটকি ৪০০, ছুরি শুঁটকি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে চিংড়ি শুঁটকি ৫৫০ টাকায়, বাঁশপাতা সিদল শুঁটকি ৪০০ ও কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে চেঁপা শুঁটকি (বড়) ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কালীগঞ্জের শিয়ালখোওয়া বাজারের শুঁটকি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, লবণের দাম আগে ৫শ টাকা ছিল, এখন ৮শ টাকা। তার উপর সাগরে মাছ কমে গেছে, হিমায়িত মাছের রপ্তানি বেড়েছে। তাই আমাদের দেশে শুঁটকির উৎপাদন অনেক কমে গেছে। শুঁটকি আমদানি করতে গিয়েও বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে। আমাদের দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি তো আছেই। সবমিলিয়ে দামটা বেড়েছে। তাই ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে।

আরেক ব্যবসায়ী মো. কাশেম মিয়া বলেন, বাজারে মাছের দাম বেশ চড়া। এক কেজি ছুরি শুঁটকি উৎপাদনে পাঁচ থেকে ছয় কেজি মাছ লাগে। আট কেজি লইট্টা মাছ শুকালে এক কেজি লইট্টা শুঁটকি পাওয়া যায়। তার উপর লবণ আর মজুরি বেড়েছে। তাই দাম বেশি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ