সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া চট্টগ্রামের কবির স্টিলের মালিকানাধীন বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আগামী সোমবার (১৩ মে) রাতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপকূলে নোঙর করতে পারে। অবশেষে ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে পৌঁছেছে।
জাহাজের মালিক কেএসআরএম গ্রæপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মুক্তি পাওয়ার পর গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এমভি আবদুল্লাহ।
মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি ১৩ মে রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে। দুবাই থেকে আসার সময় জাহাজটি ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর আনছে। এরমধ্যে কিছু চুনাপাথর কুতুবদিয়ায় খালাসের পর বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস করতে পারে।
জানা গেছে, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ