ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬

২০ মিনিটে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর

প্রকাশনার সময়: ১১ মে ২০২৪, ১০:৫৫

চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের ১৬ কিলোমিটারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান। যান চলাচলের জন্য শিগগিরই এটি খুলে দেয়া হবে। চার লেনের মধ্যে দুই লেন পুরোপুরি প্রস্তুত। বাকি দুই লেনে চলছে বৈদ্যুতিক পোল স্থাপন ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। অথচ সড়ক ধরে ভয়াবহ যানজট পেরিয়ে এটুকু পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। প্রতিদিন জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

তবে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইম মুভার ট্রেইলার (কনটেইনার পরিবহনকারী যান) চলতে পারবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এসব গাড়ি চালাতে চাইলেও তাতে সায় দেয়নি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এই তিন ধরনের গাড়ি বাদ দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের টোল চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। গাড়ির ধরন অনুযায়ী, কয়েকটি ক্ষেত্রে সিডিএর প্রস্তাবিত টোলের চেয়ে বেশি টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের নিরাপত্তায় থাকবে ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে আটটি দ্রুতগতির ক্যামেরা। টোল আদায়ের জন্য থাকবে ১৪টি বুথ।

শিগগিরই যানবাহন চলাচলের জন্য এটি খুলে দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক পোল বসানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে আটটি দ্রুতগতির ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এখানে নির্ধারিত গতিসীমার কম-বেশি চালানো হলে ক্যামেরার সাহায্যে যানবাহনগুলোকে জরিমানার আওতায় আনবে পুলিশ।’

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘বৈদ্যুতিক পোল, লাইট, সিসি ক্যামেরা এবং দ্রুতগতির ক্যামেরা বসানোর পর এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।’ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমে যাবে উল্লেখ করে হাসান বিন শামস বলেন, ‘শুধু তাই নয়, এটি নগরীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তকে অর্থাৎ নতুন ব্রিজ বাকলিয়া থেকে বহদ্দারহাট হয়ে পতেঙ্গা পর্যন্ত সংযুক্ত করেছে। এতে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।’

তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেয়া না হলে মানুষ এক্সপ্রেসওয়ের সুফল পাবে না জানিয়ে হাসান বিন শামস আরও বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে যাতে সবাই ব্যবহার করতে পারেন, সেজন্য অটোরিকশা চলাচলের অনুমোদনের চিন্তাভাবনা আছে আমাদের।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ