ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সকালের নাস্তা না খেয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২৫

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২৪, ১৯:২৮

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সকালের নাস্তা না খেয়েই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে সকাল ৭টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার সাইমুন সেখ ও সিরাজ মিয়ার ফসলি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরপরে ওই জমিতে সিরাজ মিয়া ধান রোপণ করে। গত (১ মে) সেই ধান খেতের ১৪ শতাংশ ধান সাইমুন সেখের লোকজন কেটে নেয়। এরপর সিরাজ সেখ ভাঙ্গা থানায় মামলা করলে সাইমুন সেখের লোকজন আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন। এর পরেই গতকাল রাতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। পরবর্তীতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ এসে দুগ্রুপের লোকজনকে সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আবার সকাল বেলায় সাইমুন সেখ ও কুদ্দুস মুন্সীর দলের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে দুই গ্রুপের ২৫ জন আহত। এর মধ্যে ১৬ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে এবং ২ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ১ জনকে ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এই বিষয়ে কুদ্দুস মুন্সী বলেন, আমাদের গ্রুপের সিরাজ মিয়ার ধান কেটে নিয়ে যায় সাইমুন সেখ। পরে সিরাজ মামলা করলে সাইমুন সেখ আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে হামলা করার চেষ্টা করে পরে পুলিশে খবর দিলে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ গিয়ে শান্ত করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে সাইমুন সেখের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে আমাদের লোকজন ও নামে এতেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। আমাদের লোকজন কম হওয়ার কারণে সাইমুন সেখ সব সময় আমাদের ওপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। আমরা সংঘর্ষ চাই না, আমরা শান্তি চাই। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাই।

এই বিষয়ে সাইমুন সেখ বলেন, আমার ধানের খেত নিয়ে বিরোধ ছিল। সেটি আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এই ঘটনার সমাধান স্থানীয় চেয়ারম্যান করে দিছেন। কোর্ট যাকে রায় দিবেন সে জমি খাবে। এছাড়া আমি গ্রামের বাড়ি গোপীনাথপুর থাকি না, আমি ভাঙ্গা থাকি। এই ঘটনার সাথে আমি যুক্ত না।

এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মো. কবির মোল্লা জানান, আমার বিট হামেরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা সংগঠিত হয়। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এই বিষয়ের ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন আল রশিদকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ