শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে স্থাপিত ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে বন্যহাতির পাল তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। মঙ্গলবার (৭ মে) রাতব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে ওই ধর্মপল্লীর ক্রুশ ও গুম্বজ ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ৪০/৫০ টির একদল বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে কাঁটা তারের বেড়া ভেঙে সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাতে থাকে। এসময় ওই ধর্মপল্লীর ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে খ্রিষ্টভক্তদের ধর্মীয় প্রার্থনা করতে সিঁড়ি পথে স্থাপিত ৪টি ক্রুশ ও ৩টি গম্বুজ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। একইসাথে মিশন এলাকার মাদার মেরির মূর্তির চারপাশের গ্রিলের ক্ষতি করেছে। এছাড়া গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবার করেছে বন্যহাতির পাল। রাতে মুহূর্তেই ধর্মপল্লীর ভেতরে বসবাসরতদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা গ্রামবাসীদের সহায়তায় মশাল জ্বালিয়ে ডাক চিৎকার করে খরকুটায় আগুন লাগিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে বন্যহাতির দলটি ভোররাতে মিশন এলাকা ত্যাগ করে।
বারমারী সাধু লিও খ্রিষ্টধর্মপল্লীর পালপুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বনোয়ারী জানান, বন্যহাতির দল মঙ্গলবার রাতে কাঁটা তারের বেড়া ভেঙে মিশন এলাকায় প্রবেশ করে ৪টি ক্রুশ ও ৩টি গম্বুজ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সারারাত নির্ঘুম থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বন্যহাতি তাড়িয়েছি।
উল্লেখ্য, গত প্রায় ২০ দিন যাবত বন্যহাতির পালটি নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে কৃষকের বোরো ফসল খেয়ে সাবার করেছে। বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লণ্ডভণ্ড করেছে। এমনকি ওই এলাকার বাতকুচি গ্রামের কৃষক উমর আলী কৃষককে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পিষে হত্যা করেছে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এভাবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করলেও হাতির অত্যাচার বন্ধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ