কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছারের কর্মীদের মারধর করে ২০ টি মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের পৌর প্রিপারেটরি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মুজিবুর রহমানের লোকজন হামলা চালিয়ে মোবাইলসহ ভোটার স্লিপ ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
মেয়র মাহবুবুর রহমানের অভিযোগ, পৌর প্রিপারেটরি কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের ভোট বেশি। একারণে আনারস প্রতীকের সন্ত্রাসীরা এসে মোটরসাইকেলের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ভোটার স্লিপ ও ২০ টি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে টেবিল চেয়ার ছুড়ে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয়, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশের মত স্বনামধন্য ব্যক্তিকেও বেধড়ক মারধর করতে দ্বিধাবোধ করেনি তারা।
তিনি আরও বলেন, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। সাধারণ ভোটার যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা। এছাড়া আরও কয়েকটি কেন্দ্রে তারা ভোটারদের ভয় দেখাতে নানা সমস্যা সৃষ্টি করছেন। আমি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলেছি।
মোটরসাইকেলের প্রার্থী নুরুল আবছার বলেন, ‘বল প্রয়োগ করে সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। একারণে তারা সবকিছু বল প্রয়োগ করে পেতে চাই। টেবিল নিয়ে বসা আমার কর্মী সমর্থদের মারধর করে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে তারা হাতাহাতি করেছে। প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় তারা বেশি কিছু করে উঠতে পারেনি।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামিন বলেন, ‘একটু ঝামেলা হয়েছিলো একথা সত্য। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। আমি নিজেই এই কেন্দ্রে উপস্থিত রয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
উল্লেখ্য, কক্সবাজার সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ জন। এতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান আনারস প্রতীক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার লড়ছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কক্সবাজার পৌরসভা ও ঝিলংজা, পিএমখালী, খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী এ পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে সদর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৯৯৬ জন। ভোটকেন্দ্র ৮২টি।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ