ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক পেইজ খুলে অপপ্রচার, যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশনার সময়: ০৬ মে ২০২৪, ১৮:১৪

কক্সবাজারের উখিয়ায় ফেসবুক পেইজ খুলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে মো. রাশেদ ওরফে টায়ার রাশেদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাশেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্থানীয় সংবাদকর্মী মিছবাহ আজাদ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন তিনি।

সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী ওই সংবাদকর্মী।

অভিযুক্ত রাশেদ উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের রুহুল্লাহর ডেবা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। এছাড়া ওই মামলায় তার স্ত্রী জান্নাতুল বকিয়া জোসনা, স্থানীয় আব্দুল মোতালেব ও সিরাজুল কবিরকে আসামি করা হয়েছে। রাশেদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৩টি মামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ব্লাকমেইল করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়াসহ বিভিন্ন অপর্কমের অভিযোগ এনে সম্প্রতি জেএসআর স্টুডেন্ট নামের একটি গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করেন রাশেদের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে জেএসআর গ্রুপটি দাবি করে, টায়ার রাশেদ 'গণমানুষের দর্পণ' নামের একটি ফেসবুক পেইজের সম্পাদক পরিচয় দিয়ে তাদের খুব বেপরোয়াভাবে বিরক্ত করছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ব্লাকমেইল করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন।

স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ওই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তার নানা অপর্কম বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবক তার ব্যক্তিগত একাধিক ফেসবুক আইডিসহ 'গণ মানুষের দর্পণ' নামের একটি ফেইজবুক পেইজ থেকে বিভিন্ন আপত্তিকর শব্দ লিখে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্যে রঙ মিশিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

মামলার বাদী মিছবাহ আজাদ জানান, রাশেদ দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ব্লাকমেইল করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। তাকে যে চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে মিথ্যাচার, ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে হয়রানি করেন। একই কায়দায় আমার কাছ থেকে চাঁদা নিতে তৎপরতা চালায়। টাকা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তাই তার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ভুক্তভোগীরা জানান, তার 'গণমানুষের দর্পণ' নামের অনলাইন পেইজ আছে। এই পেইজটি ব্যবহার করে শত শত মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, পেইজটি ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা দাবি করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে রাশেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গা ঢল আসার পর থেকে উখিয়ায় ফেসবুক পেইজ খুলে অবাধে চলছে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য। সংবাদ মাধ্যমের নামের সাথে সাদৃশ এসব ফেসবুক পেইজের কার্ড ঝুলিয়ে অনেক চিহ্নিত অপরাধীরা সাংবাদিকের বেশ ধারণ করছে। এই সব কার্ড ব্যবহার হচ্ছে মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে। সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে আশঙ্কাজনক হারে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে জেলাসহ উপজেলাগুলোতেও মূলধারার সংবাদকর্মীদের।

তাদের দাবি, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের সঙ্গে জড়িত রাশেদ সর্বত্র সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে এবং নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার বাড়ছে।

এই বিষয়ে উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সম্পাদসহ সাংবাদিকরা বলেন, শুধুমাত্র ফেসবুক পেইজ খুলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মূলধারার সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ