আসন্ন জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। এবার তিনি টানা দ্বিতীয় বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে।
এ উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের আব্দুস শুকুর মিয়ার ছেলে হাফিজুর রহমান। শিক্ষাজীবনে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। তার বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ৫০৯ টাকার। ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার। এছাড়া ওই সময় তার স্ত্রীর কোনো অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও বর্তমানে তিনি ৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকার সম্পদের মালিক।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার দেয়া হলফনামায় এসব তথ্য পাওয়া যায়। চলতি নির্বাচনে হলফনায় হাফিজুর রহমান তার বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন, বাড়ি/দোকান ভাড়া বাবদ ৩০ হাজার টাকা,
ব্যবসা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ভাতা থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে তার স্ত্রীর কোনো আয় নেই।হাফিজুর রহমানের অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে- নগদ ২ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ২৫ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৬ টাকা। এছাড়া তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে- নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৩ টাকা এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ ৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৬ টাকা। তবে পৈত্রিক একটি বাড়ি ছাড়া স্থাবর সম্পদ হিসেবে তার কিছুই নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন হাফিজুর রহমান। এসব সম্পদের বিপরীতে তিনি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি জীবননগর শাখায় ঋণগ্রস্ত রয়েছেন ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯০ টাকার।
২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই সময় হাফিজুর রহমানের বার্ষিক আয় ছিল ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে শুধু পৈতৃক একটি বাড়ি। আর স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নেই। ২০১৯ সালে তার বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেন, বাড়ি/দোকান ভাড়া হিসেবে ৫১ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ টাকা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ভাতা ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদ ছিল নগদ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৪০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত ২ হাজার ৩৬০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ২৫ হাজার টাকা ও ব্যবসায় বিনিয়োগ ২৬ লাখ টাকা। এই দুই নির্বাচনের হলফনামা তুলনামূলক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে হাফিজুর রহমানের ব্যাংকে জমা ছিল ২ হাজার ৩৬০ টাকা। আর বর্তমানে জমা আছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকা। সে হিসেবে এই ৫ বছরে তার ব্যাংকে জমা বেড়েছে ৫২৩ গুণ টাকা। আর ৫ বছর আগে তার স্ত্রীর কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও বর্তমানে তার স্ত্রী প্রায় ৮ লাখ
টাকা সম্পদের মালিক।নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ