কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চারদিক দিয়েই নদী, এর মধ্যে উত্তরে সুরমা পূর্বে কালনী। এ ছাড়া ইটনা সদরের মাঝে দিয়ে বয়ে চলেছে ধনু নদী। যা ভৈরবের মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। উত্তর থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধনু নদী তার গতি পরিবর্তন করতে শুরু করায় এই নদীর ভাঙনে শত শত একর বোর ধানের জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ইটনা সদর বলদার পাড় থেকে দাড়িয়ারপাড় হয়ে জোয়ারীয়ার বিলের পার্শের বোরো জমি, ভাটিচর ও কাটাখাল হয়ে এলংজুরী বাজার পর্যন্ত ধনু নদীর ভাঙন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ইটনা সদরের কৃষক সবর আলী বলেন, আমার প্রায় ৭ একর বোরো জমি ধনু নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে।
মধ্যগ্রামের কৃষক দিলোয়ারা বেগম বলেন, আমার তিন একর জমির মধ্যে প্রায় দেড় একর জমি ধনু নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
মো. আফাই মিয়া ও নবী হুসেন বলেন, আমাদের বাবা ও পিতামহের অনেক জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। সরকার অকাল বন্যা থেকে হাওরের বোরো ফসল রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ করায় কৃষকেরা এর সুফল পাইতে শুরু করেছে।
তাই বলদার পাড় থেকে দাড়িয়ার পাড় হয়ে ভাটিচর ও কাটাখাল সহ এলংজুরী বাজার পর্যন্ত ধনু নদীটি ভাঙন রোধে বালু বস্তা ফেলে অথবা যথাযথ বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি রাখেন ভাঙন কবলিত কৃষকেরা।
নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ