কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তারা বাইতুশ শরফ হাসপাতাল থেকে চক্ষু চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদরাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়, পরে হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুই জন পুরুষ রয়েছেন। নিহত সবাই চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা।
নিহতরা হলেন- ছায়েরা খাতুন, (ডোংরা ফল্লান পাড়া, খানখানাবাদ) ছায়েরা খাতুনের মেয়ে মাহমুদা বেগম, বাহারছড়া এলাকার আবু আহমদ, খাদিজা বেগম, খানখানাবাদ রায়ছটা এলাকার দুলা মিয়া।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সমিতি বাঁশখালীর সদস্য রায়হান উদ্দীন ও শাহনেওয়াজ জানান, সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদরাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার শহরের বাইতুশ শরফ হাসপাতাল থেকে চক্ষু চিকিৎসা শেষে মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এ সময় দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৩ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়। অনেকে গুরুতর আহত হয়। আহত অনেকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।'
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ জানান, 'বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। শুনেছি পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় তারা দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছেন। আমাদের (চক্ষু হাসপাতালের) একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং সহযোগিতা করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পাশে থাকবে।'
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, 'দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুট যান ও জন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করেছে। ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।'
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ