তীব্র গরমে অসুস্থ্য হওয়ার ভয়ে দিনের বেলা কাজে নামতে পারছেন না চাষিরা। তাই বাধ্য হয়ে রাতে ধান কাটাতে হচ্ছে তাদের। দিনের তীব্র তাপদাহে থাকছেন ঘরে আর রাতে কাটছেন ধান।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর কাশাভোগ এলাকায় দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
চাষিরা জানান, জেলার অধিকাংশ জমিতে বোরোধান পাকা শুরু হয়েছে। দিনের বেলা হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন অসুস্থতার ভয়ে ধান কাটতে পারছেন না তারা। তাই রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় মাঠে নেমেছেন তারা। অতিরিক্ত গরমে শ্রমিক না পেয়ে নিজেরাই নিজেদের জমির ধান কাটছেন। যতদিন চাঁদের আলো থাকবে, ততদিন এভাবেই ধান কাটবেন বলে জানান তারা।
চাষি লাভলু শিকদার বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে আমার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে তীব্র দাবদাহে দিনের বেলা ধান কাটতে রাজি হচ্ছে না শ্রমিকরা। পরে নিজেরাই রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটবো বলে সিদ্ধান্ত নেই। তাই আমরা চারজন ধান কাটা শুরু করি। রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোর ৫টা পর্যন্ত আমরা ধান কাটি।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমের কারণে জেলায় এই প্রথম রাতে চাঁদের আলোয় চাষিদের ধান কাটতে দেখা গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে আমাদের কৃষকদের দিনের বেলা ধান কাটা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কিছু কিছু কৃষক রাতে ধান কাটছে। সেক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি, সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো কম্বাইন হার্ভেস্টার দেওয়া হয়েছে। এই কম্বাইন হার্ভেস্টার যদি ব্যবহার করে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে তারা ধান কাটতে পারবেন। ধান কর্তনের যে ক্ষতি হয়, সেই ক্ষতি থেকেও বাঁচবেন।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ