চুয়াডাঙ্গায় মধ্যরাতে বৃষ্টির পর মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে আবারো বাড়ল তাপমাত্রা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ৩ টায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি ও শনিবার (২০ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দাবদাহের কাহিল মানুষ। গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে ডাবের ভূমিকা বেশ। বর্তমানে ডাবের চাহিদাও আকাশচুম্বী। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজার ও অসহনীয় গরমে সুযোগ নিচ্ছে ডাব ব্যবসায়ীরাই। তাদের অপতৎপরতায় ৭০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর ৮০-৯০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ওলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মুসল্লিরা চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টি কামনা করেন। এরপর রাত দেড়টার দিকে কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। সেই সময় শতকরা ৫৭ শতাংশ বাতাসের সাথে ১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বুধবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৩ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ