কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাচ্চা প্রসবের সময় ভুল চিকিৎসায় শিমু আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পৌর সদর নাঙ্গলকোট নোভা হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে।
শিমু আক্তার উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়ন বেল্টা গ্রামের রফিকের মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিমু আক্তার ৮ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। উপযুক্ত সময় অপেক্ষা না করে বাচ্চা নরমালে প্রসবের চেষ্টা করে ডা. ওরফিতা দাস। তিনি কোনো প্রকার অস্ত্রপাচার ছাড়াই হাতের নক ধারা টেনে নাড়িভুঁড়ি ছিড়ে বাচ্চা প্রসব করে বলে অভিযোগ নিহত শিমু আক্তারের পরিবারের। পরে প্রসূতির অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা কুচাতলি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই আইসিওতে মৃত্যু হয় প্রসূতি শিমুর।
নিহত শিমু আক্তারের পরিবারের দাবি নাঙ্গলকোট নোভা হসপিটালের ডা. ওরফিতা দাসের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে শিমুর।
এ বিষয়ে জানতে ডা. ওরফিতা দাসকে মুঠোফোন একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
নিতের স্বামী অভিযোগ করে জানান, নাঙ্গলকোট নোভা হসপিটালের ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রী মারা গেছে। স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি সুষ্ঠু বিচার ও হসপিটালের মালিকের শান্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট নোভা হসপিটালের চেয়ারম্যান তৌয়া হোসেন স্বাধীন বলেন, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে ৩ লাখ টাকায় মীমাংসা করা হয়েছে।
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, বিষয়টি জেনেছি। আমার কাছে এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ