জামালপুরের মেলান্দহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মেয়ে জামাইয়ের কুড়ালের আঘাতে মোগল মোল্লা (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোগল মোল্লা মারা যান।
নিহত মোগল মোল্লা উপজেলার খাশিমারা গ্রামের মৃত মোছকত মোল্লার ছেলে। এঘটনায় মেয়ে জামাইয়সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- নিহত মোগল মোল্লার জামাই হইবর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ (৩৮), মুন্সি নাংলা গ্রামের আব্দুলের ছেলে হইবর রহমান (৬০), খাশিমারা গ্রামের ফটিক মোল্লার ছেলে দুলাল মোল্লা (৪৫)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে শ্বশুর মোগল মোল্লা ও মেয়ে জামাই আব্দুল লতিফের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। বিয়ের পর থেকেই আব্দুল শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। গত ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে নিজস্ব জমির একটি নালায় মোগল মোল্লা ও তার ছোট ভাই মুকুল মোল্লা মাছ ধরতে যায়। এসময় আব্দুল লতিফ তার শ্বশুর মোগল মোল্লাকে মাছ ধরতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে আব্দুল লতিফ কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা মোগল মোল্লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মোগল মোল্লার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ১৭ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোগল মোল্লার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নিহত মোগল মোল্লার স্ত্রী মোছা. সানোয়ারা বেগম (৫৩) বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মো. শাকিল, নজরুল মোল্লা, মনিকা বেগম, মোছা, সাজেদা বেগম।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ ঘটনায় নিহতের জামাতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ