জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি করে বিক্রির সময় হাতে-নাতে ধরা পরে দুজন যুবক। এ ঘটনায় হাজরাবাড়ি পৌরসভার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মারুফকে আসামি করা হয়েছে। তবে মারুফের দাবি, চোর ধরিয়ে দেওয়ার কারণে তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী অটোরিকশার মালিক মিজানুর রহমান।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মানকী এলাকায় অটোরিকশাটি চুরি হয়। পরে রাত ১০টার দিকে হাজেরাবাড়ী এলাকায় থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধারসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মেলান্দহ থানার চালুবাড়ি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে লেবু মিয়া ও ঢালু বাড়ি গ্রামের তাড়া মিয়ার ছেলে মো. সবুজ মিয়া।
মামলার তিন নম্বর আসামি হলেন- হাজেরাবাড়ি পৌরসভার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মারুক। তিনি উপজেলার বাক্ষনপাড়া গ্রামের জহরুল হকের ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গতকাল মেলান্দহের মানকী বাজারে সড়কের পাশে অটোরিকশাটি রেখে দুধ কিনতে যান মিজানুর। এসময় সুযোগ বুঝে অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে যায় লেবু, সবুজ ও মারুফ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে অটোরিকশাটি হাজেরাবাড়ি এলাকায় বিক্রি করা হবে বলে জানতে পারে মিজানুর। এসময় গিয়ে হাতে-নাতে দুইজনকে ধরতে পারলে মারুফসহ আরও তিনজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আসামিদের গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা।
এবিষয়ে হাজরাবাড়ি পৌরসভার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মারুফ বলেন, আমি রাজনীতির পাশাপাশি ভাঙ্গারীর দোকানের ব্যবসা করি। আমার অনুপস্থিততে দুজন একটি অটোরিকশার ব্যাটারি আমার দোকানে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে আমি ও আমার কর্মচারীরা সেই দুই ব্যক্তিকে ধরি এবং থানায় ফোন দেই। মূলত আমিই এই অটোরিকশা চোরদের ধরি। কিন্তু থানায় নাকি আমার নামেও মামলা হয়েছে। একটি পক্ষ আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়েছে। আমি ভালো করতে গিয়ে আরও মামলার আসামি হলাম।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আসামির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ