ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাতুড়ি দিয়ে এক যুবককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত জাহিদ শেখ (২৮) ভাঙ্গা উপজেলার মহেশ্বরদী সেনকান্দা এলাকার আতিয়ার শেখের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জাহিদ শেখের সাথে পার্শ্ববর্তী বড় মুচকুরনি এলাকার কবির তালুকদারের মেয়ে হাবিবা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। এর পর থেকেই হাবিবা পরকীয়া প্রেমে জড়ায়। ফলে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২ ভরি ৪ আনা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে জাহিদকে একতরফা তালাক দেয় হাবিবা। পরে আবার জাহিদের সংসারে ফেরত আসার জন্য বিভিন্ন সময়ে ফোনে করতেন হাবিবা। কিন্ত জাহিদ তাকে গ্রহণ করবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন। এতে হাবিবা রেগে তার ভাইকে জানান। গত ১৪ এপ্রিল মহেশ্বরদী সাওপাড়া বকুল শেখকে পাওনা টাকা ৮০ হাজার টাকা দিতে সন্ধ্যা ৭টার সময় বাগ বাজার পৌঁছালে রাব্বির তালুকদার (২৬), রমজান খালাশী (৩০), আল আমিন (৩০), মান্নান (২৯), রুবেল (৩২), জবায়ের (২১)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জন জাহিদকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা সকলেই ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার বড় মুচকুরনীর বাসিন্দা।
বড় মুচকুরনী ঘুঘুর বাজার দোকানের মধ্যে নিয়ে জাহিদকে হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম ও হত্যার চেষ্টা করে। এছাড়াও তারা জাহিদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জাহিদকে পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
ভাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. কবির মোল্লা জানান, আমরা খবর পাই একদল যুবক জাহিদ নামে একজনকে মারধর করছে। পরে জাহিদকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করি। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ