নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজ পড়য়া তরুনীর সাঙ্গে এক যুবকের দুবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর সূত্রধরে দুজনে কাটিয়েছেন একান্ত সময়। হঠাৎ যুবকের অন্যত্র পাত্রী খোঁজার সংবাদে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করে কলেজ ছাত্রী।
এমন ঘটনা ঘটেছে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুর পাড়া গ্রামে।
প্রেমিক সাকিবুল ইসলাম (২২) ওই এলাকার মৃত ওহাব মোল্লার ছোট ছেলে। তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গ্রাম্য বৈঠকে উভয় পক্ষের লিখিত সম্মতিতে দুইমাস পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাগদান করানো হয়। সম্প্রতি যুবক নিকটবর্তী গ্রামে অন্য মেয়েকে বিয়ে করলে আরও একবার প্রতারিত হয় ওই তরুণী। বাধ্য হয়ে ওই প্রেমিকের বাড়িতে পুনরায় অনশন করে ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গা-ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক সাকিবুল ইসলাম।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী ও ভুক্তোভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, দুইবছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাকিবুল তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এখন অন্যত্র বিয়ের সংবাদে স্ত্রীর স্বীকৃতিতে তিনি অনশন করছেন। ঘটনার আপোষ-মিমাংসার জন্য মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বৈঠক হবার কথা থাকলেও তা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত ৯ মার্চ গ্রাম্য শালিস বৈঠকে দু-মাসপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় সাকিবুলের পরিবার। কিন্তু তারা শুনেছেন সাকিবুল অন্যত্র বিয়ে করেছেন। মেয়েটি এখন কোথায় যাবে? তারা সাকিবুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সাকিবুলের বড় ভাই হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১১ এপ্রিল সাকিবুল বিয়ে করে শশুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। অনশনের বিষয়টি তারা সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
ভুক্তোভোগী ওই তরুনীর পিতা সাকাত প্রামানিক বলেন, গ্রাম্য বৈঠক ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে তার মেয়েকে নাকফুল পরিয়ে স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সাকিবুল অন্যত্র বিয়ে করেছে। এমন প্রতারকের তিনি আইনানুগ বিচার দাবি করেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ