বৈশাখের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে চলছে কখনো মৃদু আবার কখনও মাঝারি তাপপ্রবাহ। চলতি মৌসুমে সব রেকর্ড ভেঙে এ জেলার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
সকাল থেকেই সূর্যের প্রখরতার সাথে তীব্র গরম প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে আরও প্রখরতা। এতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক ও ভ্যান- রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।
শহরের হাসান চত্বর এলাকার ফল তরমুজ ব্যবসায়ী শাহজাহান, প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। আসছে না ক্রেতারা। ঠিকমতো বেচাকেনাও হচ্ছে না। সূর্যের প্রখরতায় ফুটপাথে বসে থাকাও যাচ্ছে না। বৈশাখের শুরু থেকেই যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করাই দায়।
রিকশাচালক খোকা মিয়া বলেন, গরমে শহরে মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। তাই ভাড়াও ঠিকমতো হচ্ছে না। রাস্তা দিয়ে আগুনের মত আঁচ উঠছে।
পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় প্রথম মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে ২ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ২, ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫, ৪ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ২, ৫ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। তাপমাত্রার হিসাবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল টানা পাঁচ দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। আজ একলাফে তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। বইতে থাকে মৌসুমের প্রথম প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন এ জেলায় বৃষ্টিপাত না থাকার কারণে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ