পাবনার ঈশ্বরদীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ২টি পুকুরে বিষ প্রয়োগকরে ৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের সড়াইকান্দি গ্রামে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী আব্দুল মান্নান শেখ ওই এলাকার মৃত জহির উদ্দিন শেখ এর ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক এবং মাছচাষি।
এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মাছ চাষি আব্দুল মান্নান শেখ।অভিযুক্তরা হলেন- একই ইউনিয়নের সড়াইকান্দি এলাকার মৃত জব্বার শেখ’র ছেলে মো. আনছারুল শেখ এবং মো. মোনছের আলী শেখ, মোনছের আলী শেখের ছেলে আব্দুল মালেক ওরফে সুমন শেখ এবং একই এলাকার মো. সপ্তর আলীর ছেলে মো. সহির উদ্দিন।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দেখা যায়, মান্নান শেখের ২টি পুকুরে মাছ মরে ভেসে রয়েছে। পুকুর থেকে মরা, অর্ধ পঁচা মাছ পুকুর থেকে তুলে পাড়ে রাখছেন প্রতিবেশী এবং পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের মালিক মো. আব্দুল মান্নান শেখ বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে অভিযুক্তদের সাথে আমাদের পারিবারিকভাবে একটি গন্ডগোল হয়েছিল। সেই গন্ডগোলে তারা আমার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে এবং আমার আরও ক্ষতি করার হুমকি প্রদান করে শাসিয়ে যায়। তারই জের ধরে আনছার শেখ গং ১৪ এপ্রিল দিনের কোনো এক সময় আমার মাছভর্তি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। এতে করে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পুকুরে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আনছার শেখ বলেন, চলতি বছরের ২৭ রমজান আমার একটি ছাগল মান্নান শেখের রোপণকৃত চারা মরিচের কয়েকটি গাছ খেয়ে ফেলায় তাদের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে মাতবরদের কাছে বিচারও চেয়েছি। কারণ তারা আমার ছাগলটিকে পিটিয়ে ল্যাংড়া করে ফেলেছে। সেই বিচারে তারা হারবে নিশ্চিত জেনে নিজেরাই নিজেদের পুকুরে বিষ ঢেলে আমাদের দোষ দিচ্ছেন।
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত কর্মকর্তা) মনিরুল ইসলাম বলেন, পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ