দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তিনদিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে খিরা ২৫ এবং শসা ৩৫ টাকা কমে সোমবার (১৫ এপ্রিল) পাইকারি বাজারে শসা ৫-৬ এবং খিরা ৮-৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দাম কমে যাওয়ার পরও ক্রেতা মিলছে না। এতে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসলেও কৃষকরা পড়েছেন লোকসানের মুখে।
সকালে ফুলবাড়ী পৌর পাইকারি সবজি বাজার গিয়ে দেখা যায়, গত তিনদিন আগে (১৩ এপ্রিল) আকার ও প্রকার ভেদে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৪২ থেকে ৪৪ টাকা এবং খিরা ৩০ থেকে ৩১ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮ থেকে ৯ টাকা এবং খিরা ৫ থেকে ৬ টাকায়। এরপরও রয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্রেতার অভাব। ক্রেতার অভাবে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শসা ও খিরা বাজারে তুলে বিপাকে পড়েছেন বিক্রি নিয়ে।
দক্ষিণ কৃষ্ণপুরের শসা ও খিরা চাষি বাবুল আকন্দ ও মোশাররফ হোসেন বলেন, খেতের উৎপাদিত শসা ও খিরা নিয়ে বাজারে এসে দাম না পেয়ে হতাশায় পড়েছেন। তিনদিন আগেও শসা ও খিরার যে দাম ছিল হঠাৎ করে কমে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতা না থাকায় শসা ও খিরা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারাসহ অন্য চাষিরাও। এতে আর্থিকভাবে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
পাইকারি ব্যবসায়ী বিধান চন্দ্র দত্ত ও আনন্দ কুমার সাহা বলেন, স্থানীয়ভাবে শসা ও খিরা ব্যাপক উৎপাদন হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন মোকাম থেকে আমদানি হওয়ায় দাম কমে এসেছে। তবে ক্রেতারও অভাব দেখা দিয়েছে। এজন্যও দাম কমে গেছে
অনেকাংশে।নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ