নাম সুমন সূত্রধর। পেশায়ে একজন কাপড় ব্যবসায়ী। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পৌর নিউ মার্কেটের ফ্যাশন রুম সুমন নামে একটি কাপড়ের দোকানের মালিক তিনি। এর আগে ছিলেন বিভিন্ন কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। তার বাসা ভৈরব বাজারের টিনপট্রি এলাকায়।
সুমন সূত্রধর কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে নিজের নাম ও ধর্মের কথা গোপন করে মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবার ও প্রবাসীদের স্ত্রীদের টার্গেট করে সম্পর্ক করতো। বিভিন্ন নারীদের ফাঁদে ফেলে ভোগ ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে ভৈরব বাজারের ১২/১৫ হিন্দু যুবক ব্যবসার আড়ালে প্রবাসীর স্ত্রী ও ভালো ফ্যামেলির নারী কাস্টমারদের টার্গেট করে দীর্ঘদিন এসব অপকর্ম জড়িত রয়েছে। হিন্দুধর্মাবল্মী এই যুবকদের সাথে কিছু মুসলিম যুবকদের যোগসূত্র আছে বলে ভৈরব বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। এ বিষয়ে ভৈরব বাজারে আসা নারীদের সর্তক থাকারও পরামর্শ দেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে নরসিংদির গাবতলী এলাকায় তিন সন্তানের জননীর সাথে নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন ব্যবসায়ী সুমন সূত্রধর। আটকের পর তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকিয়ে রাখেন স্থানীয়রা। আটক অবস্থায় ফ্যাশন রুম সুমন নামে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক আইডি থেকে নিজের অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করে পোস্ট দেন। ওই পোস্ট মূহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেনসহ ভৈরবের সাধারণ মানুষের মাঝে।
ফেসবুক আইডিতে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে জানা যায়, ওই নারীর নাম অনু। তিন সন্তানের জননী তিনি।
চার বছর আগে ভৈরব নিউ মার্কেটে অভিযুক্ত সুমন সূত্রধরের কাপড়ের দোকান ফ্যাশন রুম সুমনে কাপড় কিনতে আসার সুবাদে পরিচয় হয় ওই নারীর। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায়ই নরসিংদী গিয়ে রেস্টুরেন্টে দেখা করতো। ওই ভুক্তভোগী নারী সুমনকে মানা করার পরও তাকে নিয়মিত বিরক্তি করতো। পহেলা বৈশাখের দিন রোববার বিকেলে আধঘণ্টা জিম করে ওই নারীর বাড়িতে যায়। এ সময় স্থানীয়রা অভিযুক্ত সুমন সূত্রধরকে আটক করে। সুমন হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও নিজের নামের পর কৌশলগত কারণে সূত্রধর ট্যাগ ব্যবহার করতো না। মুসলমান ও প্রবাসীদের স্ত্রীরাই ছিলো তার মূল টার্গেট। স্থানীয়দের হাতে আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব ঘটনা স্বীকার করে সুমন।
এ সময় সুমন ওই নারীকে বিয়ে করতে বলায় ভুক্তভোগী নারী সুমনের গলার কলার ধরে টানতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘সুমন তাকে আপা বলে ডাকতো। তার মেয়েকে ভাগিনী বলে ডাকতো।’
নারী তখন বলেন, ‘আমাকে বিয়ে করতে কচক্যান। তোর মারে বিয়া করামো।’
ঘটনাটি ভৈরব বাজারের সাধারণ ব্যাবসায়ী, ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত সুমনসহ কতিপয় ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমন সূত্রধর আটক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ