ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬

‘আবারও দেশে বাকশাল কায়েম করেছে সরকার’

প্রকাশনার সময়: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫০

৭৫-এ আওয়ামী সরকার বাকশাল কায়েম করেছিল। তার পুনরাবৃত্তি করে আজ আবারও তারা দেশে বাকশাল কায়েম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৪ এপ্রিল) রুহিয়া থানা বিএনপির আয়োজনে বিকেলে রুহিয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

মির্জা আলমগীর বলেন, দেশে আজ কোনো স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষ আজ দেশের ভেতরেই পরাধীনভাবে জীবন যাপন করছে। বিরোধী দল করলেই বা বিরোধী মতের হলেই আজ দেশের সাধারণ মানুষকেও এ দেউলিয়া সরকার আসামি বানিয়ে দেয়। এ ফ্যাসিষ্ট সরকার সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সব অধিকারগুলো হরণ করেছে।

সরকারের দেউলিয়া হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার আজ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। যার প্রমান মেলে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ছাড়া কোনো কাজই করতে পারে না। তারা এমন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে যে, আজ পুলিশ দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হচ্ছে তাদের। তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই বেড়েছে যে, তা ঢাকতে তারা এমন তামাশার নির্বাচন করেছে। ১৪ সালে সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তারা জয়ী হয়। আবার ১৮ এর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলে। এবার ডামি প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে। আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নেই। তারা আজ পুরো দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমার নামে ১১১টি মামলা রয়েছে। আর আমাকে জেলে যেতে হয়েছে প্রায় ১১ বার। এ বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে এমন হাস্যকর মামলাগুলো দিয়ে হেনস্থা করছে তারা। মেগা প্রজেক্ট এর নামে মেগা দুর্নীতিগুলোর বিষয়ে আমরা কথা বলি। তাই এমন হাস্যকর মামলা খেতে হচ্ছে আমাদের। দেশের ব্যাংকগুলোকে এ সরকার শেষ করে দিয়েছে। নানা সরকারি-বেসরকারি নিয়োগের টাকা খেয়ে ব্যাংকের টাকা চুরি করেই এ সরকার আর সরকারের লোকেরা টিকে থাকছে। আমরা এমন দেশ চাইনি। এমন দেশ গড়ার জন্যও আমরা যুদ্ধ করিনি।

বেগম জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ্য। তার অতিসত্তর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা খুব জরুরি। না হলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। অথচ তার চিকিৎসা নিয়েও সরকার নানা টালবাহানা করছে।

পরিশেষে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তৈমুর রহমানের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩২ বছর একসঙ্গে পথ চলেছি। আমি রাজনীতি করতে গিয়ে দূরে চলে গেলাম আর ঠাকুরগাঁওকে রেখে গেলাম তৈমুর সাহেবের কাছে। তিনি বেঁচে থাকতে বলতেন,‘এমন দেশ আমরা চাইনি আর এমন দেশ গড়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। আমরা তাজা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছি দেশ আর দেশের মানুষকে স্বাধীন দেখতে। তা আর দেখতে পারছি না।’

রুহিয়া থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সহ দলটির অন্যান্য নেতারা।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ