পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের পর বাবার সঙ্গে দেখা করতে মিরপুর স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে চিড়িয়াখানায় যায় কিশোর জাহিদ।
এসময় জাহিদের বাবা আজাদ আলী হাতি দিয়ে খেলা দেখাচ্ছিলেন চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীদের। জাহিদও কাছ থেকে খেলা দেখার জন্য হাতিটির কাছে যায়।
এসময় হাতির পিঠে বসা মাহুত আজাদ আলীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় হাতিটি। প্রথমে শুড় দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয় জাহিদকে। পরে হাতিটি পা উঠিয়ে দেয় তার বুকের ওপরে। এতে গুরুতর আহত হয় কিশোরটি।
আকস্মিক এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেন আজাদ আলী। তবে পথেই প্রাণ যায় জাহিদের।
কিশোর জাহিদের পিতা আজাদ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ ওই হাতিটির মাহুত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বলে জানান জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি বলেন, সকাল ১১টায় হাতির আঘাতে ছেলে মারা গেলেও খবরটি জানাননি মাহুত আজাদ আলী। তিনি নিজেই সিএনজি ডেকে হাসপাতালে নিচ্ছিলেন। পথে ছেলেটির মৃত্যু হয়। তখন রাস্তা থেকে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারে এবং দুপুর ১২টার দিকে আজাদ আলীকে ফোন দিলে তিনি জানান, বিনা অনুমতিতে ছেলেকে প্রবেশ করানোয় বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, তিনি সম্ভবত চাকরি হারানোর ভয় করেছিলেন। তবে আমাদের জানানো উচিৎ ছিল তার।
এদিকে, ঈদের এই আনন্দের দিনে ছেলের হারানোর খবরে শোকে কাতর হয়ে পড়েন কিশোর জাহিদের মা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ