ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ছেলেকে বাচাঁতে গিয়ে পদ্মায় নিখোঁজ বাবার মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশনার সময়: ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৬

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ছেলেকে বাচাঁতে গিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শাহাদাৎ খানের (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

ডুবে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালপুর ঘাট থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে চরভদ্রাসন ফায়ার স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুর্তজা ফকির জানান, খবর পেয়ে ঘটনার দিন (১০ এপ্রিল) তারা নদীতে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ওইদিন অভিযান স্থগিত রাখা হয়। পরে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের নামাজের পর পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ভেসে ওঠা মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সল বিন করিম বলেন, নদীতে গোসল করতে নেমে এক ব্যক্তি নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালাতে বলা হয়। ঘটনার পরের দিন ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ চেয়েছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, পরিবারের সদস্যদের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ছেলেকে বাাঁচাতে গিয়ে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হন শাহাদাৎ খান (৫৫)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কুটি খানের ছেলে।

নিহতের বড় ছেলে মুস্তাফিজ জানান, তার বাবা ঢাকায় আড়ং-এ প্রডিউসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদ করতে তারা গ্রামের বাড়িতে আসেন। ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার বাবা ছোট ভাই সিয়ামকে (১৬) নিয়ে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামেন। হঠাৎ স্রোতের তোড়ে সিয়াম ভেসে যেতে থাকলে, তার বাবা সিয়ামকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। এক পর্যায়ে তিনি ছেলেকে নদীর চরে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারলেও, নিজে তলিয়ে যান।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ