খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসবের আনন্দে ভাসছে পাহাড়িরা। প্রতি বছর বৈসাবি উৎসব এপ্রিল মাসের এগার তারিখে শুরু হয়ে শেষ হয় এপ্রিলের চৌদ্দ তরিখে। কিন্ত এ বছর ঈদুল ফিতর আর বৈসাবি উৎসব এক সাথে হয়ে যাওয়ায় এপ্রিলের পাঁচ তারিখ খাগড়াছড়িতে শুর হয় বৈসাবি উৎসবের সূচনা।
উৎসব ঘিরে বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার পাড়ায় পাড়ায় এ বৈসাবি উৎসবের সার্বিক সহযোগিতা ও অর্থায়ন করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদসহ সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্বসাশিত প্রতিষ্ঠানগুলো।
সেই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতে এপ্রিলের পাঁচ তারিখ জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করার মাধ্যমে সূচনা হয় প্রায় দশ দিনব্যাপী বর্নাঢ্য বৈসাবি উৎসবের। এ দশদিনের মধ্যে পাঁচ এপ্রিল পাহাড়ি আদিবাসীরা স্বস্ব জাতিগোষ্ঠির ঐতিহ্যবাহী রঙবেরঙের পোষাক ও আদিকালের স্বর্ণ,তাম্র,রুপা ও ব্রোঞ্জের তৈরী ঐতিহ্যবাহী অর্নামেন্টস পড়ে নেচে গেয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করেন।
১২ই এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু অর্থাৎ নদীতে ফুল ও প্রদ্বীপ প্রজ্জল করে পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে সবার জন্য মঙ্গল কামনা করে বাংলা বর্ষকে স্বাগত জানানো হবে। এ সময় জেলার ঐতিহ্যবাহী চেঙ্গী নদীর পাড়ে অসংখ্য পাহাড়িসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী পুরুষ, তরুণ,তরুণি এবং বৃদ্ধরা ভিড় জমাবেন।
বরাবরের মতো এবারও বৈসাবি উৎসবের প্রতিটি আয়োজনে পাহাড়ের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পদস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ গ্রহন করবেন। প্রতিবছরই বৈসাবি উৎসব ঘিরে খাগড়াছড়িতে দেশের নানান প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন।
এদিকে বৈসাবি উৎসব যাতে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ