মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দিঘীরপাড় ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা সোহরাব খান (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার দিঘিরপাড় বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সোহরাব খান (৫৫) ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই গ্রামের রিজভী ও রিহান নামের দুই ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহরাব খান ও তার ছেলে জনি খানকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহরাব খানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং জনি খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, নিহত সোহরাব খানের মাথায় ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া আহত জনি খানের মাথায়, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান জানান, নিহত সোহরাব খানের সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভুলু খান ওরফে ভোলা মেম্বারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই ঘটনার জেরে ভুলু খান ও তার দুই ছেলে রিজভী ও রিহানসহ ৭-৮ জন সোহরাব ও জনির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ