ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ঈদের কেনাকাটায় ফুটপাতই ভরসা নিম্ন আয়ের মানুষের

প্রকাশনার সময়: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে জমে ওঠেছে কেনাকাটা। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা হয়ে ওঠেছে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলো।

সোমবার (৮ এপ্রিল) উপজেলা সদর বাজারে দেখা যায়, ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ধনী দরিদ্র সবাই যার যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঈদ কেনাকাটায়। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ধনীদের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষেরাও তাদের পরিবার নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে। বিশেষ করে তুলনামূলক অল্প দামে পছন্দের পোশাক, গয়না, জুতা, স্যান্ডেল, অন্য প্রসাধনীসহ পছন্দের পণ্য কিনতে তারা এখন ভিড় করছেন ফুটপাত ও খোলা জায়গায় বসানো অস্থায়ী দোকানগুলোতে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদে গ্রাহকদের চাহিদামতো পণ্য সরবরাহে ব্যবসায়ীরা নতুনভাবে পুঁজি বিনিয়োগ করায় এরমধ্যে বাজারে নতুনত্ব এসেছে। ঈদের দুদিন পর বাংলা নববর্ষ হওয়ায় পোশাক পছন্দের ক্ষেত্রে অনেকটা বৈশাখের আমেজও লক্ষ্য করা গেছে। পোশাকের পাশাপাশি তাড়াইল সদর বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে প্রসাধনী, জুতা ও গয়নার দোকানেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

সোমবার বিকেলে তাড়াইল সদর বাজারের বিভিন্ন গলি ও ফুটপাতে গিয়ে দেখা যায়, মূলত নিম্নআয়ের লোকজনকে কেন্দ্র করে রাস্তার পাশে ফুটপাতে প্রচুর দোকান খোলা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে ফুটপাতের দোকানেও। তাই ক্রেতাদের কোনো না কোনো জিনিস পছন্দ হচ্ছে আর কিনেও নিচ্ছেন।

সেখানকার বেশিরভাগ গ্রাহকরা বলছেন, তারা ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছেন। কারণ শপিংমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি।

এদিকে কেনাকাটা করতে আসা হোসাইন আহম্মেদ জানান, তার পরিবারে ৭ জন সদস্য রয়েছে। এমনিতেই সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঈদে মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে ফুটপাত থেকে জামা কেনা হয়েছে। মনে চায় এই ঈদে পরিবারের সবাইকে কিছু দিতে। কিন্তু ইচ্ছে করলেই অর্থের অভাবে তা আর পারছি কোথায়।

তাড়াইল বাজারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী দোকানগুলোতে কেউ চৌকি পেতে, কেউ বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ মাটিতে চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনী সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন।

ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা ইমন ভুঁইয়া, টুটুল, গুলক সহ অনেক দোকানদার বলেন, কিছুদিন আগে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও এখন বেশ বেড়েছে। রমজানের শেষে আনন্দের ঈদকে বরণ করার জন্য ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে কারোরই আগ্রহ উৎসাহের কমতি থাকে না। স্বল্প আয়ের লোকদের মনে থাকে নানা দুশ্চিন্তা। তারপরও ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে চেষ্টার ত্রুটি নেই। তারা সাধ্যনুযায়ী চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটাতে।

তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ বলেন, ঈদের আনন্দকে ভোগান্তিমুক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ। ক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ