ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬

দাম বেশি তবু নায়রা-গায়রা-আলিয়া কাটেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা

প্রকাশনার সময়: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৫

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নায়রা, আলিয়াকাট, লেহেঙ্গা, গ্রাউনসহ বাহারি নামের ভারতীয় পোশাকের পাশাপাশি দেশিয় পোশাকে জমে উঠেছে ঈদ বাজার।

বিক্রেতারা বলছেন, দেশিয় পোশাকের দাম কম হলেও ক্রেতারা চড়া দামেই এসব ভারতীয় পোশাক কিনছেন। তবে দেশিয় ব্র্যান্ডগুলোর পোশাকও চলছে ভালোই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ফুলবাড়ী পৌর এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের বাজার জমে উঠেছে। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে নিজেদের পছন্দমতো পোশাক কিনছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, মেয়েদের পোশাকে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মেয়েদের পোশাকের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আলিয়াকাট, নায়রা, সারারা ও গারারা। এ জামাগুলো দেড় হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় এ পোশাকগুলো এনেছে ঢাকা থেকে। একই সঙ্গে রয়েছে দেশিয় বিভিন্ন পোশাক। এগুলোরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের কাছে।

ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে শাড়ির বাজারে। ফুলবাড়ী বাজার সবচেয়ে বড় শাড়ির কাপড়পট্টি। এ বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশিয় শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সুতি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, হাফ সিল্ক ও সিল্ক শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এসব শাড়ি ৬০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ভারতীয় কাতান শাড়িরও কিছুটা চাহিদা রয়েছে। এ শাড়িগুলো ২ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

কাপড়পট্টির শাড়ি বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, দেশিয় শাড়ির চাহিদা সব সময়ই বেশি থাকে। এবার অন্যান্য বারের তুলনায় কম বেচাকেনা হচ্ছে। এবার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে যেসব শাড়ি রয়েছে, সেগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশি দামি শাড়ির চাহিদা কম।

গার্মেন্টস পট্টির ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। তবে ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসবে, বেচাবিক্রি

ততই বাড়বে। এখন ছোট ছেলেমেয়েদের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। দেশিয় কাপড়ের মানও অনেক ভালো হওয়ার পাশাপাশি দামও একটু কম। ক্রেতারা দেশিয় কাপড় কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন।

ছেলেদের পোশাকের বাজারে কটি সেটের চাহিদা বেশি। বাজারে দেশিয় কটি সেটের দাম হাজার টাকা থেকে ও ভারতীয় কটি সেটের দাম দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু। দোকানিরা বলছেন, ভারতীয় কটি চেয়ে দেশিয় কটি সেটের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

এছাড়া পাঞ্জাবির বাজারে দেশিয় পাঞ্জারির সাথে সাথে ভারতীয় পাঞ্জাবিও বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় পাঞ্জাবির চেয়ে দেশিয় পাঞ্জাবির দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা দেশিয় পাঞ্জাবির দিকে ঝুঁকছেন। এসব দেশিয় পাঞ্জাবির দাম ৭০০ টাকা থেকে শুরু এবং ভারতীয় পাঞ্জাবির দাম দেড় হাজার থেকে শুরু। এ ছাড়া শার্ট, প্যান্ট ও গেঞ্জির জন্য মানুষ দেশীয় পণ্যের ওপর বেশি আস্থা রাখছেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঈদের মার্কেট ক্রেতা-বিক্রেতারা নির্বিঘ্নে বেচাকেনা করতে পারবেন এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ