কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে টানা লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে চৈত্রের ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের জাঁতাকলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দিনে রাতে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন ঘটছে ঈদের বেচাকেনা ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।
দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন রোজাদার ও খেটে খাওয়া মানুষ। বোরো ক্ষেতে সেচ দিতেও সঙ্কটে পড়েছে কৃষক।
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা বলেন, রমজানের শুরু থেকেই সাহরি, ইফতার ও তারাবিতে দিনে রাতে চলছে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি। রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে রাতে ঘুমাতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর আসে। বর্তমানে দিনে-রাতে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না তাই ভ্যাপসা গরমে ঘরেও টিকে থাকা যায় না।
এদিকে গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগ হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে একটানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে হাটবাজারে লোকসমাগমও কমে গেছে। বিপণি বিতানগুলোও থাকছে ক্রেতাশূন্য।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ফরিদ আল দীন বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ