চুয়াডাঙ্গায় টানা ৬ দিন ধরে মৃদু ও মাঝারি ধরনের তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলেছে, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমবে না।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রর্তা ২২ শতাংশ।
এদিকে, রোদের প্রখরতা ও তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন শ্রেণির খেটেখাওয়া মানুষ। তারা এ ভ্যাপসা গরমে কাজ করতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সূর্যের প্রখরতা ও ভ্যাপসা গরম। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে দুপুরের পর থেকে সড়কগুলো এক প্রকার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পহেলা এপ্রিল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই ছিল চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। পরদিন মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার পুনরায় তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়ার গ্রামের ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সামনে আর কদিন বাদে ঈদ। প্রচন্ড গরমেও গাড়ি চালাচ্ছি। কিন্ত রাস্তায় যাত্রী কম। এ জন্য ভাড়া হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসনহাটি গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, তীব্র রোদের মধ্যে মাঠে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। সূর্য ওঠার আগে থেকেই কাজ করছি। যাতে সূর্যের তেজ বাড়ার আগেই কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সূর্যের প্রখরতা ও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত জেলার ওপর দিয়ে চলমান এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ