প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষেরা। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমটার ভোগান্তির আশঙ্কা থাকায় সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করছে জেলা পুলিশ।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলের অংশে যানবাহনের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে বলে জানা যায়। মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার যানজট নিরসনে পুলিশের প্রায় ৭ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে যানজট না থাকলেও গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
পুলিশ জানিয়েছেন, মহাসড়কে শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানজট নিরসনে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছেন। এ সড়ক দিয়ে প্রায় ২২ থেকে ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। তাই এই সড়কে গাড়ির চাপ থাকে বেশি। ঈদের সময় ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে যানবাহনের সংখ্যা ৫ থেকে ৬ গুণ বৃদ্ধি পায়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, টাঙ্গাইলের অংশে পরিবহন চালকরা ৬৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৬ লেনের সুবিধা পাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন বাড়তে শুরু করলেও নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক রয়েছে।
এলেঙ্গা থেকে সেতু এলাকায় সাড়ে ১৩ কিলোমটার দুই লেন রয়েছে। সেখানে আমাদের কঠিন নজরদারি রয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এই সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল অংশে ৭ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরাতে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ