ঢাকা, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬

বিনা পয়সার বাজার!

প্রকাশনার সময়: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩২

কোনো বিপণী বিতান বা বাজার নয়, ভ্রাম্যমাণ একটি দোকানে থরে থরে সাজানো ঈদের নতুন পোশাক। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফ্রগ, কামিজসহ নানা ধরণের পোশাক সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে ৪টি স্টল। শিশুরা যার যার পছন্দ মতো পোশাক নিচ্ছে। অন্যপাশে পোলাও চাল, সেমাই, চিনি ও পেয়াঁজ নিয়ে বসেছে আরেকটি স্টল।

তবে এই পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী নিতে দিতে হচ্ছে না কোনো টাকা!

শনিবার (৬ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাধীন হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করেছে শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন নামে স্থানীয় একটি সংগঠন।

স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠন শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল অনুষ্ঠানটিতে।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জিকু, হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উজ্জল হোসাইন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেবাঞ্জ পন্ডিত, শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এবিএম চঞ্চল, হোসেনপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম জহির রায়হান, সাংবাদিক জাকির হোসেন, নয়া শতাব্দী সাংবাদিক আশরাফ আহমেদ, কালবেলার সাংবাদিক উজ্জ্বল সরকার, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ মকসুদ, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন অপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুখলেসুর রহমান মোকলেছ প্রমুখ।

এসময় ইউএনও অনিন্দ মন্ডল বলেন, এমন উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি। তারা যে আয়োজন করেছে, এতে শিশুদের পছন্দের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এমন কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।

বিনা পয়সার বাজারের ক্রেতা শিশু মোবারক (৫) জানায়, কোনো টাকা ছাড়াই সে নিজের পছন্দনুযায়ী পোশাক নিতে পেরেছে। নিজের পছন্দের জিনিস পেয়ে তার অনেক ভালো লাগছে।

আরেক ক্রেতা জুমা (৮) বলে, আগেও ঈদের পোশাক পাইতাম। কিন্তু নিজের পছন্দ কইরা নেওয়ার সুযোগ আছিল না। এইহান থাইক্যা নিজের পছন্দ মতো একটা পাঞ্জাবি লইছি।

শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, আমরা ৬ বছর ধরে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের পোশাক বিতরণ করছি। কিন্তু যাকে পোশাক দিচ্ছি, সেটা তার পছন্দনুযায়ী হয়েছে কিনা- তা আমরা বুঝতে পারতাম না। বাচ্চাদের পছন্দের অধিকার দিতেই এই আয়োজন করা হয়েছে।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এই বাজার। প্রায় দুই শতাধিক শিশু ঈদের পোশাক ও শতাধিক পরিবার খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে বিনা পয়সার এই বাজার থেকে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ